My School Life Memories Essay in Bengali: আজও ছাত্র জীবনের মধুর স্মৃতি আমার হৃদয়ে খোদাই করেছে। সেই স্মৃতিগুলি মনে পড়ার সাথে সাথে হৃদয় অনন্য আনন্দে ভরে ওঠে এবং এই কথাগুলি মুখ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসে, ‘হায়! সেই দিনগুলো আবার ফিরে আসত! ‘
আমার ছাত্র জীবনের মধুর স্মৃতি নিয়ে বাংলায় রচনা My School Life Memories Essay in Bengali
আমার আজও সেই দিনটির কথা মনে আছে, যখন আমি প্রথম দিন স্কুলে এসেছিলাম, এক হাতে ব্যান্ডেজ রেখে, আমার পকেটে একটি পেন্সিল রেখে অন্য হাতে বাবার আঙুলটি ধরেছিলাম, তখন আমার একদিকে উত্তেজনা ছিল এবং আমার অজানা ভয় ছিল অন্য। তারপরে আমার পড়াশোনা শুরু হয়েছিল। আমার প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের সাথে আমি দ্রুত সকল শিক্ষকের প্রিয় হয়ে উঠি।
পড়াশুনায় আমি সর্বদা প্রথম ছিলাম। আমি অনেক বৃত্তি পেয়েছি। আমি স্কুল ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলাম। আমি যখন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছি, পুরো পরিবেশ আমার নামের সাথে ডেকে উঠল। আমাদের দল সর্বদা বিজয়ী ছিল। আমার নামটি থিয়েটারেও কথা হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আমাকে ভালবাসত, শিক্ষকরা আমার জন্য গর্বিত ছিলেন। এটি বার্ষিক কবিদের সম্মেলন বা বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হোক না কেন, সর্বত্রই আমার নাম ডাকা হত। জীবনের সেই দিনগুলো কত মধুর ছিল! পাঠশালার হাতে লেখা মাসিক ‘জ্ঞানোদয়’ সম্পাদনা থেকে যে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং আনন্দ পেয়েছি তা অবর্ণনীয়। স্কুলটি আয়োজিত অজন্তা-ইলাউড়া, দিল্লি-আগ্রা এবং নৈনিতালের ভ্রমণের স্মৃতি এখনও আমার হৃদয়কে আনন্দে ভরিয়ে দেয়।
স্কুল জীবনের এই দশ বছরে, আমি অনেক শিক্ষকের কাছ থেকে শিখেছি, তবে তাদের সকলের মধ্যে আমি কখনও শ্রী ব্রহ্মান্ডে এবং শ্রী জাম্বোটকারজীকে ভুলতে পারি না। শ্রী ব্রহ্মদণ্ডে মারাঠি ও সংস্কৃতের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর প্রেমময় প্রকৃতি এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের ছাপ আমার হৃদয়ে আজও রয়েছে। জনাব জাম্বোটকার গুরুজী ছিলেন আমাদের অধ্যক্ষ, যিনি প্রতিটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা এবং তাদের চরিত্র গঠনের যত্ন নেন।
আমি কীভাবে ছাত্র জীবনের বন্ধুদেরকে ভুলে যেতে পারি যার সাথে আমি বছরের পর বছর আনন্দ করেছি। আমার সমস্ত বন্ধু খুব উত্সাহী, দুষ্টু এবং পরিশ্রমী ছিল। তাদের বন্ধুত্ব আজও একই আছে। স্কুল জীবনের শেষ দিনটি দেখতে এসেছিল। বিদায় অনুষ্ঠান! সেদিন গুরু ও সহপাঠীদের ছেড়ে যাওয়ার সময় হৃদয় ছিঁড়ে যাচ্ছিল।
এইভাবে, আমার ছাত্রজীবনটি খুব ট্রেন্ডি ছিল। ছাত্র জীবনের সেই মিষ্টি দিনগুলি স্বপ্নের মতো কেটে গেছে, এখন তাদের স্মৃতি বাকি আছে।